Category: রূপচর্চা

বৈশাখী সাজে

No Comments

পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন নতুন বছরকে বরণ করতে বর্ষবরণ উৎসবের এইদিনে থাকে নানা আয়োজন। আর উৎসব মানেই তো সাজসজ্জা। যেহেতু বাংলা নববর্ষের উৎসব তাই সাজসজ্জায় গুরুত্ব পায় বাঙালিয়ানা সাজ। এ সময় প্রকৃতিতে গরম আবহাওয়া বিরাজ করে তাই সাজ ও পোশাকের ক্ষেত্রে স্বস্তির বিষয়টি বিবেচনা করা খুবই জরুরি।

বৈশাখের প্রচণ্ড গরমে সারাদিনের সাজে মেকআপটা অবশ্যই হওয়া চাই হালকা ন্যাচারাল লুক এবং মেকআপের সমস্ত প্রসাধনী হতে হবে ওয়াটার প্রুফ, যেন ঘামে নষ্ট না হয়। মেকআপের স্থায়িত্বের জন্য শুরুতেই প্রাইসার লাগিয়ে নেওয়া ভালো এবং বৈশাখে মেকআপ যদি ৬পিএফ ফিল্টার সমৃদ্ধ হয় তাহলে আরও ভালো।

চুলের সাজে বাঙালিয়ানা লুক ফুটিয়ে তুলতে খোঁপা ও বেণির বিকল্প নেই। পোশাক, চুলের ধরন, মুখের গড়ন, পছন্দ সবকিছুর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন খোঁপা ও বেণির ডিজাইন। তবে বৈশাখী সাজ অতিরঞ্জিত নয়, যতটা ন্যাচারাল দেখাবে ততটাই সুন্দর লাগবে আপনাকে। তাই চুমকিতে অতিরিক্ত হেয়ার স্প্রে বা মুগ ব্যবহার না করে ন্যাচারাল দেখায় তেমনিভাবেই চুল সেট করুন। তবে চুল বাঁধার আগেই কপালে টিপ পরুন। বর্তমানে ডিজাইনাররা টিপের মধ্যে অনেক ধরনের নকশা করছেন। বিভিন্ন সাইজ ও রঙের টিপ রয়েছে, পছন্দমতো পরে নিয়ে আপনার বৈশাখী সাজকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

পহেলা বৈশাখের পোশাকের রং বলতে একটি সময় ছিল যখন কেবল লাল ও সাদাকেই বোঝাত। কিন্তু বর্তমান সময়ে ডিজাইনাররা বৈশাখী পোশাকে রেখেছেন বিভিন্ন রঙের উপস্থিতি। যা বর্ষবরণ উত্সবকে করে তুলেছে রঙিন। বৈশাখের গরম আবহাওয়া ও মডেলদের পরিহিত পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেই আমি এই হেয়ারস্টাইলগুলো করেছি। বৈশাখী সাজে মেকআপে যেহেতু গুরুত্ব পায় স্নিগ্ধ, সতেজ, ন্যাচারাল লুক, তাই বৈশাখী সাজে বাঙালি লুক ফুটিয়ে তুলতে চুলের সাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই হেয়ার স্টাইলগুলোর বাইরেও অসংখ্য হেয়ারস্টাইল আছে, যা আপনার পহেলা বৈশাখের সাজকে ফুটিয়ে তুলবে। তবে হেয়ারস্টাইলটি অবশ্যই হতে হবে বৈশাখের গরম আবহাওয়া ও পোশাকের সঙ্গে মানানসই। চুলের সাজকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পরতে পারেন নাকফুল বা খোঁপায় কাটা পুসি বা অন্যকিছু দিয়ে। পহেলা বৈশাখের পোশাকের রং বা ডিজাইন বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে আমার মনে হয় পোশাকের ফেব্রিক্স অবশ্যই হওয়া চাই সুতি। কেননা গরমে সুতি সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক।

অল্প সময়ে স্বল্প আয়োজনে রান্নাঘরেই রূপচর্চা

No Comments

১। দুধ ভাতঃ

খাবার হিসেবে দুধ ভাতের আলাদা একটা  কদর আছে। কিন্তু রূপচর্চায় যে দুধভাতের ব্যবহার আছে সেটা হয়তো অনেকেরই অজানা। নরম করে রান্না করা ভাত আর দুধ অনেক্ষন Image result for দুধ ভাত প্যাকএকসাথে মাখিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মাখানো পেস্ট সম্পূর্ণ মুখ এবং গলায় মাস্ক করে  লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহারে মাত্র কয়েক সপ্তাহেই আপনি পাবেন নজর কাঁড়া মোহনীয় ত্বক। এই পেস্ট ফ্রীজে রেখে অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

 

২। লেবু আর চালের আটাঃ

চালের আটার সাথে লেবু আর হালকা ঠান্ডা পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। সম্পূর্ণ মুখে ভালোভাবে পেস্টটি সুন্দরভাবে মাস্ক করে লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণ শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাস্কটি শুকিয়ে গেলে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবহারে মুখের ব্ল্যাক হেডস দূর করে মুখে ফিরিয়ে আনবে তারুণ্য ভরা উজ্জ্বলতা। এই পেস্ট ফ্রীজে রেখে অনেকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

৩। মধু লেবুঃ

মধু আর লেবুর রস ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। মধু আর লেবু এক সাথে মিশিয়ে মুখের Image result for মধু লেবু প্যাকত্বকে মালিশ করতে হবে। অনেক ক্ষণ মালিশ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখের ডার্কসার্কেল , ব্ল্যাক হেডস আর হোয়াইট হেডস এর জন্য মধু লেবুর প্যাক অনেক উপকারী। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য এটা বেশি কার্যকরী। সপ্তাহে ২ দিন করে ব্যবহারে আপনি পাবেন দাগহীন সুন্দর ত্বক।

192800-carrot-cucumber

৪। গাজর & শসার প্যাকঃ

গাঁজর আর শসা কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডার বা শীল পাটায় বেটে নিতে হবে। বাটা পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গাঁজর শসার পেস্ট অনেক উপকারী। এই পেস্ট ফ্রীজে রেখে অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ  করে রাখতে পারবেন।

৫। কলার প্যাকঃ

পাকা কলা ত্বক এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী। এটা চুলে মাখিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে কন্ডিশনার এর মত কাজ করে।  চুলকে করে সিল্কি আর নরম। পাকা কলা নরম করে মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫ পর ধুয়ে ফেললে ত্বক সুন্দর থাকে।Image result for কলার প্যাক

এভাবেই আপনার হাতের কাছের জিনিসপত্র দিয়ে করে নিতে পারেন আপনার রূপচর্চার কাজ। অল্প সময়ে স্বল্প আয়োজনে আপনার এমন রূপচর্চায় ফিরে পেতে পারেন উজ্জ্বল লাবণ্যময় ত্বক মাত্র কয়েক সপ্তাহে।

 

এই শীতে ত্বকের যত্ন

No Comments

শীতের আগমেনর এই সময়টাতে ত্বক খুবই রুক্ষ, শুষ্ক ও মলিন হতে দেখা যায়। বাইরের ধুলাবালি, শীতল আবহাওয়া ও আর্দ্র পরিবেশের কারণে নারী-পুরুষ উভয়ের ত্বকের ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, ত্বক ও হাত-পা ফেটে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের চেহারায় খসখসে ভাব চলে আসে ও চেহারার লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই শীতের এই সময়টাতে ত্বকের সুস্বাস্হ্য রক্ষায় এবং ত্বককে সজীব ও মসৃণ রাখতে দরকার একটু বাড়তি যত্ন ও সর্তকতা।

ত্বকের যত্ন

শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক স্বাভাবিক ভাবে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। তাই এ সময়ে ময়েশ্চারাইজিং যুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। রোজ গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে, ত্বক ফাটবেও না বরং ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠবে। বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ক্রিম মুখ লাগিয়ে রোদে বের হবেন। এতে আপনার ত্বক বাইরের ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাবে ও বলিরেখার হাত থেকে রেহাই পাবে।

মধু ও পাকা কলা

মধু ও পাকা কলা একসাথে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরী করে মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজ লাগান। নিয়মিত এটি ব্যবহারে ত্বক আর্দ্রতা ফিরে পাবে, হয়ে উঠবে নরম ও কোমল। দুধের সর কিংবা অন্যান্য প্যাকের সাথেও মধু ব্যবহার করতে পারবেন।

শসা ও টমেটো

১ টেবিল চামচ শসার রস ও ১ চা চামচ টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মুখে ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করে তুলবে। শসা চাকা চাকা করে কেটে চোখের উপরে লাগিয়ে রাখুন, চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে এবং ডার্ক সার্কেল চলে যাবে।

অলিভ অয়েল

সাধারণত সব ধরণের ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। গোসলের আগে মুখে ও শরীরে অলিভ অয়েল লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর গোসল করে ফেলুন। এছাড়া অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে হালকা মিশ্রণ তৈরী করে মুখে লাগান। এতে আপনার মুখের মৃত কোষ উঠে যাবে।

শীতে বিশেষ করে ছেলেদের ত্বক হয় বেশি রুক্ষ ও খসখসে। ফলে ত্বক ফেটে যায়। বাইরের ধুলাবালি আর ত্বক তৈলাক্ত হওয়ায় অনেকেরই মুখে ব্রণ উঠে। এই সব সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এবং অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ ব্যবহার করে ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারেন।

হাত-পায়ের যত্ন

শীতে হাত-পা ফেটে যাওয়া অস্বাভাবিকের কিছু না। এ সময়ে হাত অমসৃণ ও খসখসে হয়ে থাকে, হাতের কনুই,পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। তাই হাত ও পায়ে গ্লিসারিন,পানি ও গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ফাটা ভাব চলে যাবে ও মসৃণতা ভাব ফিরে আসবে। এছাড়া হাত ও পায়ে লোশন এবং বিভিন্ন Branded Winter Care পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁটের যত্ন

শীত আসতে না আসতেই ঠোঁটের চামড়া ঊঠতে শুরু করে,ঠোঁট ফেটে যায় আবার অনেক সময় ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়। এই শীতে ঠোঁট কে নরম, সতেজ ও কোমল রাখতে ভ্যাসলিন,গ্লিসারিন অথবা পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁট নরম থাকবে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান, কোল্ড ক্রিম,ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ও লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চেহারার সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, ত্বক থাকবে সজীব ও সতেজ।

কনুই ও হাঁটুর কালো দূর করতে

No Comments

অনেক সময় কনুই ও হাঁটু কালো ও অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। কিন্তু সাবান ব্যবহার করে এসব দাগ দূর করা যায় না। যখন ত্বকে এ রকম দাগ দেখা যায়, তখন সাবান ঘষলে তা আরও বেড়ে যাতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়ে এসব দাগ দূর করা যায়। কনুইয়ের দাগ দূর করার পাঁচটি প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন:

লেবু: লেবুতে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান থাকে, যা ত্বক পরিষ্কার করে। ত্বকের যেসব এলাকায় দাগ মনে হবে, সেসব স্থানে লেবুর রস ঘষে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। এরপর তা ১০ মিনিট রেখে দিন এবং হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। টানা কয়েক সপ্তাহ এ নিয়ম মানলে পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

ঘৃতকুমারী: ত্বক নমনীয় করে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। মাংসল ঘৃতকুমারীর থেকে তার স্বচ্ছ জেলির মতো শাঁস খসখসে ত্বকের ওপর ঘষতে পারেন। এরপর তা ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে তা ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা ময়েশ্চারাইজার মাখিয়ে রাখুন।

নারকেল তেল: খসখসে শুষ্ক ত্বক নরম করতে তাতে নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এরপর হালকা গরম পানিতে গোসল করে ফেলতে পারেন। তবে সাবান মাখবেন না। পারলে শরীরে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মাখতে পারেন।

দই: দইকে দারুণ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মনে করা হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না—টকদই ব্যবহারে ত্বকের দাগ দূর করা যায়। টকদইয়ের সঙ্গে এক চামচ ভিনেগার ও কিছুটা বেসন যুক্ত করে তা ত্বকে লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে তা ধুয়ে ফেলতে হবে।

বেকিং সোডা: দুধের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ওই পেস্ট কনুই বা হাঁটুতে লাগান। পাঁচ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলুন। দুই মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে একবার এ পেস্ট মেখে দেখুন। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

কমলার খোসায় রূপচর্চা

No Comments

ফলটুকুই তো মূল। খোসা আর বিচি ফেলে দিলেই না ফলের স্বাদ পাওয়া যাবে। তবে ফেলে দেওয়া জিনিসও যে রূপচর্চায় বেশ কাজে লাগতে পারে, প্রমাণ পাওয়া গেছে অনেকবার। এখন কমলার সময়। স্বাদে তো কমলা দারুণ, এর খোসাও কিন্তু কম যায় না।
ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতা রক্ষায় কমলার খোসার ব্যবহার ও গুণাগুণগুলো জানালেন রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন।

যেভাবে উপকার পাবেন—
 ভিটামিন সি কমলার খোসার মধ্যেও আছে। খোসা ভালো করে জ্বাল দিয়ে রস বের করে নিন। যেকোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করার আগে গায়ে মালিশ করে নিন। ত্বকে মসৃণ ভাব চলে আসবে। ঠিক একইভাবে কমলার খোসা শুকিয়ে পাউডার করে সেটা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
 যেকোনো মিষ্টান্নতেও কমলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। চোখের দেখা আর মুখের স্বাদ দুটোর জন্যই ভালো কাজ করবে।
 চালের গুঁড়া, দই ও কমলার খোসা তিনটি জিনিস মিশিয়ে আলতোভাবে মালিশ করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে।
 ব্রণের সমস্যা কমাতে কমলার খোসার পেস্ট ব্যবহার করুন।
 স্ক্রাবার হিসেবে কমলার খোসা ব্যবহার করে দেখুন, মরা চামড়া সরে যাবে, ত্বক নরম হবে।
 খোলা লোমকূপের সমস্যা ধীরে ধীরে সমাধান হবে।
 ত্বকে অমসৃণভাবে কালো দাগের সমস্যা থাকলে ময়দা, কমলার রস, কমলার খোসা মিশিয়ে মালিশ করুন কিছুক্ষণ। চলে যাবে। যত সাধারণভাবে কম উপকরণ মিশিয়ে করবেন, তত ভালো ফলাফল পাবেন।
 যেকোনো প্যাকের সঙ্গেও কমলার খোসা মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল হবে।
 রোদে পোড়া ভাব দূর করতে দুধ অথবা দইয়ের সঙ্গে কমলার খোসা মিশিয়ে নিতে পারেন।
 চকচকে ভাব আনতে নখে ঘষুন।
 সারা রাত কমলার খোসা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তিনটি কাজ হবে—চুল পরিষ্কার, খুশকি দূর ও চুল নরম করা।
 বলিরেখা কমিয়ে আনতেও এর জুরি মেলা ভার।

যেটা করবেন না
 কমলার খোসা ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকলে বাদ দিন। গুণাগুণ কমে যাবে।
 কমলার খোসা বেশি দিন শুকিয়ে রেখে দেবেন না। ছত্রাক জন্মাতে পারে।
 কমলার খোসা বা প্যাক ব্যবহার করার পর বেশ কিছুক্ষণ রোদে যাওয়া যাবে না। ত্বক রোদে পুড়ে যাবে।
 যাদের ত্বক সংবেদনশীল, কমলার খোসাকে দূরেই রাখুন। কারণ অ্যালার্জি হতে পারে। যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে কমলার খোসা কম থাকবে। প্যাকের পরিমাণ বেশি থাকবে।

শীতকালে শুষ্ক ও ফাটা ত্বকের ঘরোয়া সমাধান

No Comments

শুষ্ক ত্বকের সমস্যা যা জেরোসিস নামেও পরিচিত। এটি এমন এক ত্বকের অবস্থা যা ত্বকের বাইরের স্তরে আর্দ্রতার অভাব ঘটায়। চিকিৎসা না হলে শুষ্ক ত্বকে ফাটল, সাদা দাগ এবং সংক্রমণ দেখা যায়। শুষ্ক ত্বক সাধারণত গরম বা ঠাণ্ডা আবহাওয়া, গরম জলে স্নান এবং কম আর্দ্রতার পরিবেশগত কারণেও ঘটে। শুষ্ক ত্বক সাধারণত অস্থায়ী এবং সাধারণত শীতকালে এই সমস্যা বাড়ে। অতএব, শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শুষ্ক ত্বকের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য ঘরোয়া সমাধান:

মধু: শুষ্ক ত্বকের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার হল মধু। মধু খুবই ময়শ্চেরাইজিং, এবং শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক নরম করতে সাহায্য করবে। মধুতে অনেক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং এতে অ্যান্টিমাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আপনি ফেস মাস্ক হিসাবে কাঁচা মধু প্রয়োগ করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার মধু প্রয়োগ করলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা এবং সাদা দাগগুলি হ্রাস পাবে।

ওটমিলে স্নান: ওটমিল এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য উপকারী। স্নানের সময় গুঁড়ো ওটমিল যোগ করলে বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের উপশমে সাহায্য করতে পারে। কাঁচা দুধ এবং ওট মিশিয়ে প্যাকও বানাতে পারেন।

দুধ: যদি ত্বকে চুলকানি বোধ করেন এবং আপনার ত্বকে সাদা দাগ দেখতে পান তবে ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা দুধ একটি কাপড় ভিজিয়ে তা পাঁচ থেকে দশ মিনিটের জন্য আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনার শুষ্ক ত্বকের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর পরও চারপাশের কথা শুনতে পায় মানুষ

নারকেল তেল: আমরা সবাই নারকেল তেলের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা জানি। শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সা করতে দুর্দান্ত কাজ করে প্রাকৃতিক নারকেল তেল। নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি হিসাবে নিরাপদ এবং কার্যকর। এই তেল উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করে এবং ত্বকে লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বৃদ্ধি করে।

দই: আপনার ত্বকে দই প্রয়োগ করলে মুখে ময়শ্চারাইজারের পরিমাণ ঠিক থাকে এবং ব্রেকআউটের বিরুদ্ধেও তা লড়াই করতে পারে। মুখে দই প্রয়োগ করলে তা আপনার ত্বক নরম এবং ময়শ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এটি আপনার ত্বককে একটি মসৃণ টেক্সচার দেয়। আপনার ত্বকে সাদা দই প্রয়োগ করুন এবং প্রায় পনেরো মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে দিন। শুষ্কতা হ্রাস করতে সপ্তাহে কয়েকবার বা প্রতিদিনই দই প্রয়োগ করতে পারেন।

রূপচর্চায় হলুদ গাঁদা

No Comments

‘হলুদ-গাঁদার ফুল, রাঙা-পলাশ ফুল।

এনে দে এনে দে নইলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।।’

বাংলাদেশে গাঁদা ফুলের এমনই কদর। বিয়েবাড়ি, গায়েহলুদে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে। ঘর বা নিজেকে সাজানোর জন্যই নয়, গাঁদা ফুলের আছে আরও অনেক গুণ। গাঁদার ব্যবহার দেখা যায় রূপচর্চায়। ত্বকে কোথাও কেটে, ছিঁড়ে গেলেও আগে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা হতো গাঁদা গাছের পাতার রস।

লোমকূপের ব্যাকটেরিয়া দূর করা, ব্রণ হওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করা, ত্বকের পুরোনো ক্ষতের দাগ দূর করা, প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করা, ত্বক ও মাথার শুষ্কতা দূর করা ইত্যাদি কাজ দক্ষতার সঙ্গেই করে গাঁদা। আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানান, গাঁদা ফুল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ার কাজ করে। এ ছাড়া আছে নানা ঔষধি গুণ। ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় এই মৌসুমে গাঁদা ফুলের শতভাগ ব্যবহার করতে পারেন। জেনে নেওয়া যাক আরও কী কী গুণ রয়েছে গাঁদা ফুলের।

গাঁদা ফুলের যত গুণ

* বলিরেখা থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

* ত্বকের কাটা-ছেঁড়ায় জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে।

* ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতেও সাহায্য করে এই ফুল।

* ত্বকের তরুণ ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।

* রোদে পোড়া ত্বককে সজীব করে তোলে।

* চোখের নিচের ফোলা ভাব কমায়।

* মাথার খুশকি দূর করে।

* চুলে প্রাকৃতিক রঙের কাজ করে।

* ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গাঁদা ফুল ত্বকে তিনভাবে ব্যবহার করা যায়। এর পেস্ট করে নিতে পারেন। আর না হলে গুঁড়া। এর জন্য প্রথমে গাঁদা ফুলের পাপড়ির সাদা অংশ বাদ দিয়ে কেবল হলুদ অংশ সংগ্রহ করতে হবে। এরপর তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ভালো হবে যদি পরিষ্কার পাপড়িগুলো কাঁচা দুধে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখেন। এরপর সেটি ব্লেন্ডারে পিষে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গাঁদা ফুলের পেস্ট। এটি ত্বকে নানাভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে গাঁদা ফুলের পাউডার বা গুঁড়া সংরক্ষণ করতে চাইলে প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাপড়ি সংগ্রহ করতে হবে। এরপর সেই পাপড়িগুলো ধুয়ে একটি ট্রেতে ছড়িয়ে দিন। রোদে শুকিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করুন। এভাবে তৈরি গাঁদা ফুলের গুঁড়া কাচের বয়ামে অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

ত্বকের যত্নে গাঁদা ফুলের কয়েকটি প্যাক

* সমপরিমাণ গাঁদা ফুলের পেস্ট বা পাউডার, দুধ, বেসন মুলতানি মাটি বা চন্দনের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক উজ্জ্বল করবে ও রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।

* গাঁদা ফুলের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।

* ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে গাঁদা ফুলের পেস্ট বা গুঁড়ার সঙ্গে টক দই, গোলাপ জল ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে।

* দুধের সরের সঙ্গে গাঁদা ফুলের পেস্টের মিশ্রণ ত্বকের শুষ্কতা ও বলিরেখা দূর করে।

ত্বকের যত্ন হোক গ্রিন টি দিয়ে

No Comments

আদিকাল থেকেই ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের উপর নির্ভর করার কথা শুনে এসেছি। বর্তমান যুগে রুপচর্চার নানান আধুনিক পদ্ধতি রয়েছে। এরপরও প্রাকৃতিক উপাদানের চাহিদা ফুরোয়নি। কম খরচে, খুব সহজে ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় প্রাকৃতিক উপাদানগুলো। গ্রিন টি পানে শরীরে যেমন উপকারিতা পাওয়ায় তেমনি রুপচর্চায়ও এটি বেশ কার‌্যকরী।

গ্রিন টির পানি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালো ছোপ দুর হবে।

চাইলে আপনি ১ চা-চামচ গ্রিন টি পাতা, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ চিমটি হলুদ গুঁড়া এবং গোলাপ জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। মুখে ও হাতে-পায়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুলে ফেলুন। কালচে দাগ দূর হবে এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল।

গ্রিন টির পানি ও গোলাপ জল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে মুখে তুলা দিয়ে লাগিয়ে ভালো মানের ক্রিম লাগালে ত্বক কোমল থাকবে।

বডি স্ক্রাবের জন্য গ্রিন টির পানি আধা কাপ, মধু, লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে হাতে-পায়ে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।

চুল পড়া কমায় আদা

No Comments

আদা ও পানি

২ টেবিল চামচ আদা কুচি ব্লেন্ড করে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন ৪৫ মিনিট। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে।
আদা ও লেবু
আদা কুচির সঙ্গে তিলের তেল ও আধা চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মিহি পেস্ট তৈরি হলে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এই হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে দ্রুত বাড়বে চুল।
শসা, আদা ও নারকেল তেল
১ টেবিল চামচ আদা কুচির সঙ্গে আধা কাপ শসা কুচি, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ১ টেবিল চামচ তুলসির তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মিশ্রণটি আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর করবে এই হেয়ার প্যাক।
আদা ও পেঁয়াজ
২ টেবিল চামচ আদার রসের সঙ্গে একটি পেঁয়াজের রস মেশান। মিশ্রণে তুলার টুকরা ভিজিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার এটি ব্যবহার করতে পারেন। চুল ঘন করবে এই হেয়ার প্যাক। পাশাপাশি বন্ধ হবে চুল পড়া।
আদা, রসুন, মধু
১ চা চামচ আডা কুচি, ২ চা চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ নারকেলের তেল, ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৩ কোয়া রসুন একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন। পেস্ট তৈরি হলে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আধা ঘণ্টা পর। চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।

ত্বকের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার

No Comments

শুধু চুলের পরিচর্যার জন্যই নয়, ত্বকের যত্নেও সমান কার্যকর নারকেল তেল। এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজ ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই ত্বকের যে কোনো সমস্যায় নারকেল তেলকে মহৌষধ হিসেবে গণ্য করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। আবার মেকআপ করা থেকে এটি তোলার কাজটিও করে থাকে এই তেল। হাতের নাগালেই পাওয়া যায় এবং সহজলভ্য হওয়ায় ত্বকের যত্নে নারকেল তেলই সেরা।

কাজেই জেনে নিন ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন এই তেল-

বয়স কমাতে

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বার্ধক্যের নানা ছাপ পড়ে যায়। কাজেই এসব সমস্যা মোকাবেলায় নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মেকআপ করতে

আপনি আপনার চেকবোনকে হাইলাইটার ছাড়াই আকর্ষণীয় করে তুলতে চান? চিন্তা নেই। চেকবোনে কয়েকফোঁটা নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। পরে ফলাফলটা নিজেই টের পাবেন।

শুষ্ক হাতের যত্নে

শুষ্ক হাতের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখার সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কার্যকর উপাদান হচ্ছে নারকেল তেল। কাজেই হাতের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে নারকেল তেল ব্যবহারের বিকল্প নেই।

ত্বকের সমস্যা রোধে

নারকেল তেলে অ্যান্টি-ফাংগাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উভয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে নিয়মিত এ তেল ব্যবহারে ত্বকের নানা সমস্যা রোধ হয়।

শেভিং-এ

পা দুটো লোমমুক্ত করার আগে সেখানে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। এতে মাইক্রোবিয়াল থাকায় তা পা দুটোকে মসৃণ করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে শেভিং করার সময় এটি পিচ্ছিলকারক পদার্থ হিসেবে কাজ করে।

চুলের যত্নে

গোসলের কিছুক্ষণ আগে চুলে তেল লাগিয়ে নিন। এবার গোসলের সময় শ্যাম্পু করুন। দেখবেন চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে এবং স্বাস্থ্যকর।

মেকআপ তুলতে

মেকআপ তুলতেও নারকেল তেলের বিকল্প নেই। এজন্য তুলোয় কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে চোখের আশেপাশে আস্তে আস্তে ঘষুণ। দেখবেন মেকআপ সহজেই উঠে যাবে