নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ

বিশ্বের অন্যতম তিনটি ফ্যাশন উৎসব বসে প্যারিস, লন্ডন ও নিউ ইয়র্কে।

গ্রীষ্ম ও শীত এই দুই সিজনে ভাগ হয়ে চলে এই উৎসব। এখানে হলিউড-বলিউডসহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এসে ভিড় করেন নামজাদা সব ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেলরা। থাকেন ফ্যাশন দুনিয়া মাতানো সাংবাদিকেরাও।

ক্যামেরার আলো ঝলকানির মধ্যে চলে নানা দেশের পোশাকের প্রদর্শনী। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে এই উৎসবগুলোর গুরুত্ব ও মর্যাদা অনেক। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বসতে চলছে ফ্যাশন উইক। নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক নামে শীতকালীন এই আসর বসবে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে, চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

তারচেয়ে আনন্দের সংবাদ হলো, এবার এই আসরে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমেরিকা প্রবাসী ওমর চৌধুরীর তত্বাবধানে অভিনেতা, প্রযোজক ও ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়াল হোসেন নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে অংশ নেবেন বলে চূড়ান্ত হয়েছে। যা হতে চলেছে কোনো পুরুষ ডিজাইনারের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সেগমেন্টে তিনি হাজির হবেন ঐতিহ্যবাহী মসলিন, জামদানি, তাঁত ও পাটের পোশাক নিয়ে। পিয়াল হোসেনের নকশা করা পোশাক পরে রানআউটে হাঁটবেন বিশ্বের নামী দামী মডেলরা। এই ভাবনায় বেশ উচ্ছ্বসিত পিয়াল হোসেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফ্যাশনে ঐতিহ্য মসলিন, জামদানি, তাঁত ও পাটের গুরুত্ব অনেক। এসব কাপড়ে তৈরি পোশাক তুলে ধরবো বিশ্বমঞ্চে। খুব আনন্দ হচ্ছে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি ৭ ফেব্রুয়ারির। আশা করছি খুব ভালো অভিজ্ঞতা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ দিতে চাই নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকের পার্টনার এবং এশীয় অঞ্চলের সমন্বয়কারী ওমর চৌধুরীকে। তার হাত ধরেই অত্যন্ত সম্মানিত এই মঞ্চে যাচ্ছি আমি, হাজির থাকবে বাংলাদেশ। তিনি লন্ডনে কৈশোর কাটিয়েছেন এবং নিউ ইয়র্কে বেড়ে ওঠেছেন। তবু বাংলাদেশের প্রতি তার টান ও প্রেম আমাকে মুগ্ধ করে। তিনি তার জন্মভূমিকে বিশ্বের অনন্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে চান বলেই এই ফ্যাশন উৎসবে আমাকে সঙ্গী করেছেন।

একই কথা জানান ওমর চৌধুরীও। তিনি বলেন, ফ্যাশনে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। এখানে অনেক চমৎকার সব ডিজাইনাররা আছেন। অনেক গুণী ও গ্ল্যামারাস মডেল রয়েছে। তারা সুযোগ পেলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের যোগ্য প্রতিনিধি হতে পারবে বলেই বিশ্বাস করি। সেই জায়গা থেকেই ডিজাইনার হিসেবে পিয়ালকে পারফেক্ট মনে হয়েছে।

বলিউডের মণীষ মালহোত্রা যেমন নিজেকে ডিজাইনার হিসেবে পৃথিবীতে বিখ্যাত করে তুলেছেন তেমনিভাবে বাংলাদেশের ডিজাইনাররাও নিজেকে বিকশিত করতে পারবেন এই মঞ্চে নিয়মিত হয়ে। এটাই প্রত্যাশা করেন ওমর চৌধুরী।